Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

প্রশ্নোত্তর (অগ্রহায়ণ ১৪২৪)

সবিতা রায়, গ্রাম : মৌতলা, উপজেলা : কালীগঞ্জ, জেলা : সাতক্ষীরা
প্রশ্ন : নারিকেলের ছোট ফলগুলো ঝরে পড়ছে। ঝরা ফলগুলোর মুখ কালো। কী করব?
উত্তর : নারিকেল গাছের ফল ঝরে পড়ে যায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এমওপি বা পটাশ সারের অভাবে। সে কারণে নারিকেল গাছের বয়স জেনে সুষম মাত্রার সার প্রয়োগ করতে হয়। সেক্ষেত্রে ১-৪ বছর বয়সী গাছের জন্য গোবর ১০ কেজি, ইউরিয়া ২০০ গ্রাম, টিএসপি ১০০ গ্রাম, এমওপি ৪০০ গ্রাম, জিপসাম ১০০ গ্রাম, জিংক সালফেট ৪০ গ্রাম, বরিক এসিড ১০ গ্রাম গাছের গোড়া থেকে চারদিকে ৩ ফুট বাদ দিয়ে মাটি কুপিয়ে ৮-১২ ইঞ্চি মাটির গভীরে সারগুলো প্রয়োগ করতে হবে। সার প্রয়োগ করতে হয় দুই কিস্তিতে। প্রথম কিস্তিতে অর্ধেক সার মধ্য  বৈশাখ থেকে মধ্য  জ্যৈষ্ঠ (মে) এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে বাকি অর্ধেক সার মধ্য ভাদ্র থেকে মধ্য আশ্বিন (সেপ্টেম্বর) মাসে। নারিকেল গাছের বয়স ৫-৭ বছর ও ৮-১০ বছর বয়স হলে ১-৪ বছর বয়সী নারিকেল গাছের সারের মাত্রাকে ২ ও ৩ গুণ করে নিয়মমাফিক প্রয়োগ করলেই কাক্সিক্ষত ফলন পাবেন। নারিকেল গাছের ঝরা ফলগুলো কালো হয় মাকড় বা মাইটের কারণে। সেজন্য ভালো হয় এবামেকটিন গ্রুপের যে কোনো ভালো মানের মাকড়নাশক আক্রান্ত নারিকেল গাছে সঠিক নিয়মে প্রয়োগ করা।


মো. সিদ্দিক হায়দার, গ্রাম : বাহুগুলপুর, উপজেলা : শিবগঞ্জ, জেলা : বগুড়া
প্রশ্ন : পটোল গাছের কাণ্ড ও পাতা বাদামি-কালো হচ্ছে, শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। কী করব ?

উত্তর : পটোল গাছের কা- ও পাতা বাদামি-কালো হয়ে যায় অ্যানথ্রাকনোজ রোগের কারণে। সেজন্য এ রোগ দমনে প্রপিকোনাজল গ্রুপের যেমন টিল্ট নামক ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি মিশিয়ে আক্রান্ত গাছে বিকাল বেলায় পুরো পটোল গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করা। এভাবে ২ থেকে ৩ বার স্প্রে করলেই আপনি সুফল পাবেন।  


সুজিত কুমার বিশ্বাস, গ্রাম : করোলিয়া, উপজেলা : তেরখাঁদা, জেলা : খুলনা
প্রশ্ন : আমার পানের বরোজে পান গাছের লতা পচে যাচ্ছে। প্রতিকারের উপায় কী ?

উত্তর : পানের বরোজে লতা/কাণ্ড পচা বা ভাইন রট হয় ফিউজিরিয়াম নামক ছত্রাকের আক্রমণে। এ রোগ দেখা দিলে প্রাথমিক অবস্থায় রোগাক্রান্ত লতা/কা-গুলো পানের বরোজ থেকে উঠিয়ে দূরে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হয়। এছাড়া পানের বরজে পানের লতায় রোদ সরাসরি পড়তে না দেয়া। কিন্তু রোগটি বেশি পরিমাণে দেখা দিলে টেবুকোনাজল ও ট্রাইফ্লক্সিস্ট্রবিন গ্রুপের নাটিভো প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৮ গ্রাম কিংবা সানভিট/ ব্লিটক্স প্রতি লিটার পানিতে ৪ গ্রাম ভালোভাবে মিশিয়ে রোগাক্রান্ত পান গাছে সঠিক নিয়মে স্প্রে করতে হবে। তবেই আপনি কাক্সিক্ষত পানের ফলন পাবেন।


মো. ফজলুর রহমান, গ্রাম : সরফরাজপুর, উপজেলা : চৌগাছা, জেলা : যশোর
প্রশ্ন : পেয়ারা গাছের পাতা ও ডাল শুকিয়ে পাতাশূন্য হয়ে যাচ্ছে। এভাবে গাছটি মারা যাচ্ছে। কিভাবে প্রতিকার করব?

উত্তর : পেয়ারা গাছের এ সমস্যাটি ফিউজিরিয়াম নামক ছত্রাকের আক্রমণের ফলে হয়ে থাকে। একে পেয়ারার উইল্ট বা ঢলে পড়া রোগ বলে। এ রোগটি যে কোনো বয়সে হতে পারে। রোগের শুরুতেই সানভিট/ ব্লিটক্স প্রতি লিটার পানিতে ৪ গ্রাম ভালোভাবে মিশিয়ে রোগাক্রান্ত  পেয়ারা গাছে সঠিক নিয়মে স্প্রে করতে হবে। এ রোগের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাটি হলো পেয়ারা বাগানে পানি জমতে না দেয়া। পানি জমার সাথে সাথেই তা নিকাশ করা। আর আক্রান্ত গাছের গোড়ার মাটিতে জিপসাম বা চুন প্রয়োগ করা।


আরিফুর ইসলাম, গ্রাম : কেরাদারি, উপজেলা : রাজারহাট, জেলা : কুড়িগ্রাম
প্রশ্ন : গরুর মুখ এ ঘা হয়েছে এবং লালার মতো পড়ছে। পায়ের ক্ষুরেও ঘা হয়েছে। তাপমাত্রা বেশি এবং কিছু খেতে চাচ্ছে না। এর প্রতিকার কী?

উত্তর : গরুর মুখের ঘা ও পায়ের ক্ষুরের সমস্যাগুলো দূর করার জন্য এফ এমডি কিউর দিয়ে মুখ ও পায়ের ক্ষত পরিষ্কার করতে হবে দিনে ২-৩ বার। এছাড়া এপথোকেয়ার পাউডার মুখের ক্ষতে লাগাতে হবে ২৫ গ্রাম করে ৫-৭ দিন পর্যন্ত। বাইপেন ভেট ইনজেকশন দিতে হবে। সাথে এইস ভেট বোলাস খাওয়াতে হবে।  


মো. ওয়াহিদ, গ্রাম : ফিংড়ি, উপজেলা : সাতক্ষীরা সদর, জেলা : সাতক্ষীরা
প্রশ্ন : গাভীর ওলান ফুলে গেছে। ওই জায়গাটা গরম হয়ে রয়েছে। বাট শক্ত হয়ে গিয়েছে। কী করব ?

উত্তর : এমপিসিন ভেট ইনজেকশন দিতে হবে ৩-৫ দিন মাংসে। অ্যান্টিহিস্টাভেট ইনজেকশন মাংসে দিতে হবে ৩-৫ দিন পর্যন্ত। কপভেট ইনজেকশন মাংসে প্রয়োগ করতে হবে ৩ দিন পর্যন্ত। ম্যাস্টিকেয়ার প্লাস পাউডার খাওয়াতে হবে ৩০ গ্রাম ওষুধ ২ বেলা করে ৩-৫ দিন।

 

রকিবুল ইসলাম, গ্রাম : পাটগা মুন্সীপাড়া, উপজেলা : রানীশঙ্কর, জেলা : ঠাকুরগাঁও

প্রশ্ন : কবুতরের মুখ সাদা হয়ে গিয়েছে। টোনা শক্ত হয়ে আছে। কিছু খায় না। কী করণীয়?
উত্তর : অ্যামোডিস ভেট অথবা মেট্রো ভেট পাঁচ ভাগের এক ভাগ করে পানিতে গুলে ড্রপ দিয়ে ৩/৪ ফোঁটা করে দিনে ২ বার খাওয়াতে হবে। তাহলে আপনার কবুতরের সমস্যাটি দূর হয়ে যাবে।

 

মো. ফেরদৌস আলম, গ্রাম : রানীগঞ্জ, উপজেলা : দিনাজপুর সদর, জেলা : দিনাজপুর
প্রশ্ন : পানির রঙ গাঢ় সবুজ, মাছ মরে যাচ্ছে। কী করব?

উত্তর : অতিরিক্ত প্লাংকটন তৈরি হওয়ার কারণে এবং অক্সিজেনের অভাব হলে এমনটি হয়। এ সমস্যা সমাধানের জন্য চুন ১ কেজি/শতক হারে প্রয়োগ করতে হবে। খাবার ও রাসায়নিক সার সাময়িক বন্ধ রাখতে হবে এবং পানির পরিমাণ বাড়াতে হবে। তুঁতে ১২-১৪ গ্রাম/ শতক হারে ছোট পোটলায় বেঁধে ওপর থেকে ১০-১৫ সেন্টিমিটার নিচে বাঁশের খুঁটিতে বেঁধে রাখলে ভালো হয়। সিলভার কার্প মাছ ছাড়তে হবে।

 

মো. বদরুল হোসেন, গ্রাম : সাকোয়া  উপজেলা : বোদা, জেলা : পঞ্চগড়
প্রশ্ন : মাছের ফুলকা পচা রোগ হয়েছে, কী করব?

উত্তর : ট্রাইকোডিনা নামক এককোষী পরজীবী দ্বারা এ রোগ হয়। বড় মাছের চেয়ে পোনা মাছের ক্ষেত্রে এ রোগ বেশি হয়। ফুলকার রক্তক্ষরণ স্থান ফুলে যায়। খাদ্য গ্রহণে অনীহা হয়। আক্রান্ত মাছ দ্রুত মারা যায়। এ সমস্যার সমাধানে চুন ১ কেজি/শতক হারে প্রয়োগ করতে হবে। ডাইরেক্স প্রতি বিঘায় ২০০ গ্রাম করে ২০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ছিটিয়ে দিতে হবে। ঘা যুক্ত মাছগুলোকে পুকুর থেকে তুলে ২০ লিটার পাত্রে পানি নিয়ে তাতে ২০০ গ্রাম লবণ মিশিয়ে পানিতে মাছগুলোকে ৫ মিনিট রাখতে হবে। তারপর পটাশিয়াম প্যারম্যাঙ্গাটের দ্রবণে ৫ মিনিট রাখতে হবে। প্রতি কেজি খাবারের সাথে টেরামাইসিন ট্যাবলেট একটি করে এক সপ্তাহ খাওয়াতে হবে।


মো. সাইফুল ইসলাম, গ্রাম : শ্রীপুর কুমারিয়া, উপজেলা : জামালপুর সদর, জেলা : জামালপুর
প্রশ্ন : ছাদ বাগানে লাগানোর জন্য কোনো ধরনের লেবুর জাত উপযোগী? পরিচর্যা বিষয়েও জানাবেন।

উত্তর : ছাদ বাগানের জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বারি লেবু-২ ও ৩ জাতের চারা লাগাতে পারেন। এ দুইটি লেবুর গাছ থেকে আপনি সারা বছরই ফলন পাবেন। তবে বারি লেবু-৩ এর ফলন বর্ষাকালে ভালো হয়। লেবুর চারা লাগানোর আগে টিনের হাফ ড্রামে ১০ থেকে ১৫ কেজি জৈব সার, ২০০ গ্রাম টিএসপি ও ২০০ গ্রাম এমওপি সার ভালো করে মিশিয়ে রেখে দিতে হবে। সার মেশানোর ১৫ দিন পর আপনি আপনার কাক্সিক্ষত জাতের লেবুর কলমের চারা লাগাবেন। লেবুর চারাটি ড্রামের মাঝখানে গর্ত করে সোজাভাবে লাগাবেন। এ কাজটি বিকেল বেলা করবেন। তারপর হালকা সেচ দিয়ে দিতে হবে। লেবুর চারাটি অবশ্যই একটি শক্ত খুঁটি দিয়ে আলগা করে বেঁধে দিবেন। লেবু গাছে সার প্রয়োগ করতে হয় বছরে তিনবার। সেক্ষেত্রে প্রথম কিস্তি বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ, দ্বিতীয় কিস্তি মধ্য ভাদ্র থেকে মধ্য কার্তিক এবং তৃতীয় কিস্তি মাঘ-ফাল্গুন মাসে। গাছভেদে সার প্রয়োগমাত্রা ভিন্ন হয়। সেজন্য ১-২ বছর বয়সী গাছের ক্ষেত্রে লেবুর চারা গাছ লাগানোর মাত্র মতো দিলেই হবে। কিন্তু ৩-৫ বছর বয়সী লেবুর গাছের জন্য উল্লিখিত মাত্রা প্রায় দ্বিগুণ করতে হবে। আর যদি গাছের বয়স ৬ বছরের বেশি হয় তবে পচা গোবর ২৫ কেজি, ইউরিয়া ৫০০ গ্রাম, টিএসপি ৪০০ গ্রাম ও এমওপি ৪০০ গ্রাম তিনভাগে ভাগ করে তিন কিস্তিতে প্রয়োগ করা প্রয়োজন। গাছের গোড়া থেকে শোষক শাখা বের হলে অবশ্যই তা কেটে দিতে হবে। নাহলে গাছের বাড়বাড়তি ও ফলন ভালো হবে না। ভালো ফলনের জন্য লেবু গাছে ছাটাইয়ের প্রয়োজন হয়। সবচেয়ে ভালো সময় হচ্ছে মধ্য ভাদ্র থেকে মধ্য কার্তিক মাস। আশা করি, এসব ব্যবস্থা নিলে আপনি ছাদ বাগানে লেবুর ভালো ফলন পাবেন।


কৃষির যে কোনো প্রশ্নের উত্তর বা সমাধান পেতে বাংলাদেশের যে কোনো জায়গা থেকে যে কোনো মোবাইল থেকে কল করতে পারেন আমাদের কল সেন্টারের ১৬১২৩ এ নাম্বারে। শুক্রবার ও সরকারি ছুটি ব্যতিত যে  কোনো দিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ সময়ের মধ্যে। তাছাড়া কৃষিকথার গ্রাহক হতে বার্ষিক ডাক মাশুল সহ ৫০ টাকা মানি অর্ডারের মাধ্যমে পরিচালক, কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫ এ ঠিকানায় পাঠিয়ে ১ বছরের জন্য গ্রাহক হতে পারেন। প্রতি বাংলা মাসের প্রথম দিকে কৃষিকথা পৌঁছে যাবে আপনার ঠিকানায়।

কৃষিবিদ মো. তৌফিক আরেফীন*
*উপজেলা কৃষি অফিসার এলআর, সংযুক্ত কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ঢাকা 
suman_arefin@yahoo.com

 

 


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon